ফরিদা মজিদের কবিতা ও তাহাদের কথা
“তিনি ফরিদা মজিদ, একটি সাংস্কৃতিক পারিবারিক পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন। পারিবারিক পরিমণ্ডলের প্রেরণাতেই তিনি বালিকা বয়স থেকে পদ্য রচনা করেন। সে সব আদি রচনার কোনও কোনও পঙ্ক্তিতে প্রতিশ্রুতির ঝিলিক ছিল। দীর্ঘকাল বাংলা কবিতা লেখায় ছেদ পড়লেও তিনি কখনও কবিতার সান্নিধ্য ত্যাগ করেন নি। নিরন্তর সাধনায় ফরিদা গড়ে তুলেছিলেন নিজের কবিসত্তাকে। তার সাধনা ব্যর্থ হয়নি।
ফরিদা মজিদের কবিতা ও তাহাদের কথা
“তিনি ফরিদা মজিদ, একটি সাংস্কৃতিক পারিবারিক পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন। পারিবারিক পরিমণ্ডলের প্রেরণাতেই তিনি বালিকা বয়স থেকে পদ্য রচনা করেন। সে সব আদি রচনার কোনও কোনও পঙ্ক্তিতে প্রতিশ্রুতির ঝিলিক ছিল। দীর্ঘকাল বাংলা কবিতা লেখায় ছেদ পড়লেও তিনি কখনও কবিতার সান্নিধ্য ত্যাগ করেন নি। নিরন্তর সাধনায় ফরিদা গড়ে তুলেছিলেন নিজের কবিসত্তাকে। তার সাধনা ব্যর্থ হয়নি।
ফরিদা মজিদ একটু বেশি বয়সে, বলা যেতে পারে, কবিতার বই প্রকাশ করেছেন। তার সমবয়সী বহু কবি ইতিমধ্যে অনেক গ্রন্থের প্রণেতা।
অথচ তিনি এতকাল পর শুধুমাত্র একটি বই নিয়ে হাজির হয়েছেন আমাদের কবিতার আসরে। কথায় বলে, সংখ্যায় কি এসে যায়। কবিতার বই কাব্যগুণে কতখানি সমৃদ্ধ, সেটাই বিচার্য। অভিজ্ঞ কাব্যরসপিপাসুগণ ফরিদা মজিদের ‘গাঁদাফুলের প্রয়াণ ও যারা বেঁচে থাকবে’ বইটি পড়ে এই বিদুষীকে বাংলাদেশের প্রথম সারির একজন কবি হিসাবে বরণ করে নেবেন, সন্দেহ নেই।
অজস্র পুস্তক পাঠের অভিজ্ঞতা এবং জীবনযাপনের অভিজ্ঞতাকে ফরিদা তার কবিতায় সার্থকভাবে কাজে লাগিয়েছেন। তার কবিতায় মনন ও আবেগের হরগৌরী-মিলন আমাকে মুগ্ধ করেছে। যদিও তিনি দীর্ঘকাল যাবত আমেরিকায় বসবাস করছেন তবু তাঁর হার্দিক টান রয়ে গেছে স্বদেশ ও স্বজনের প্রতি, যার পরিচয় আমরা তার কবিতাতেই পাই। তাই তিনি বারবার ফিরে আসেন তার শেকড়ের কাছে।
আমার বিবেচনায় ‘গাঁদাফুলের প্রয়াণ ও যারা বেঁচে থাকবে’ একটি অসামান্য কাব্যগ্রন্থ, যা কখনও ভিড়ে হারিযে যাওয়ার নয়। ফরিদা মজিদের আরও বই পড়ার জন্যে উৎসুক হ’য়ে রইলাম। তাকে অভিনন্দন জানাই।”
-শামসুর রাহমান।
ফরিদা মজিদের কবিতা ও তাহাদের কথা
“তিনি ফরিদা মজিদ, একটি সাংস্কৃতিক পারিবারিক পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন। পারিবারিক পরিমণ্ডলের প্রেরণাতেই তিনি বালিকা বয়স থেকে পদ্য রচনা করেন। সে সব আদি রচনার কোনও কোনও পঙ্ক্তিতে প্রতিশ্রুতির ঝিলিক ছিল। দীর্ঘকাল বাংলা কবিতা লেখায় ছেদ পড়লেও তিনি কখনও কবিতার সান্নিধ্য ত্যাগ করেন নি। নিরন্তর সাধনায় ফরিদা গড়ে তুলেছিলেন নিজের কবিসত্তাকে। তার সাধনা ব্যর্থ হয়নি।
By ফরিদা মজিদ
Category: কবিতা
ফরিদা মজিদের কবিতা ও তাহাদের কথা
“তিনি ফরিদা মজিদ, একটি সাংস্কৃতিক পারিবারিক পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন। পারিবারিক পরিমণ্ডলের প্রেরণাতেই তিনি বালিকা বয়স থেকে পদ্য রচনা করেন। সে সব আদি রচনার কোনও কোনও পঙ্ক্তিতে প্রতিশ্রুতির ঝিলিক ছিল। দীর্ঘকাল বাংলা কবিতা লেখায় ছেদ পড়লেও তিনি কখনও কবিতার সান্নিধ্য ত্যাগ করেন নি। নিরন্তর সাধনায় ফরিদা গড়ে তুলেছিলেন নিজের কবিসত্তাকে। তার সাধনা ব্যর্থ হয়নি।
ফরিদা মজিদ একটু বেশি বয়সে, বলা যেতে পারে, কবিতার বই প্রকাশ করেছেন। তার সমবয়সী বহু কবি ইতিমধ্যে অনেক গ্রন্থের প্রণেতা।
অথচ তিনি এতকাল পর শুধুমাত্র একটি বই নিয়ে হাজির হয়েছেন আমাদের কবিতার আসরে। কথায় বলে, সংখ্যায় কি এসে যায়। কবিতার বই কাব্যগুণে কতখানি সমৃদ্ধ, সেটাই বিচার্য। অভিজ্ঞ কাব্যরসপিপাসুগণ ফরিদা মজিদের ‘গাঁদাফুলের প্রয়াণ ও যারা বেঁচে থাকবে’ বইটি পড়ে এই বিদুষীকে বাংলাদেশের প্রথম সারির একজন কবি হিসাবে বরণ করে নেবেন, সন্দেহ নেই।
অজস্র পুস্তক পাঠের অভিজ্ঞতা এবং জীবনযাপনের অভিজ্ঞতাকে ফরিদা তার কবিতায় সার্থকভাবে কাজে লাগিয়েছেন। তার কবিতায় মনন ও আবেগের হরগৌরী-মিলন আমাকে মুগ্ধ করেছে। যদিও তিনি দীর্ঘকাল যাবত আমেরিকায় বসবাস করছেন তবু তাঁর হার্দিক টান রয়ে গেছে স্বদেশ ও স্বজনের প্রতি, যার পরিচয় আমরা তার কবিতাতেই পাই। তাই তিনি বারবার ফিরে আসেন তার শেকড়ের কাছে।
আমার বিবেচনায় ‘গাঁদাফুলের প্রয়াণ ও যারা বেঁচে থাকবে’ একটি অসামান্য কাব্যগ্রন্থ, যা কখনও ভিড়ে হারিযে যাওয়ার নয়। ফরিদা মজিদের আরও বই পড়ার জন্যে উৎসুক হ’য়ে রইলাম। তাকে অভিনন্দন জানাই।”
-শামসুর রাহমান।